কম্পিউটার ভাইরাস কি : আমরা যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করি তারা হয়তো computer virus এর নাম শুনছেন। তাছাড়া এটাও জানেন যে এটা কতটা ভয়াবহ কম্পিউটারের জন্য।
আমরা সবাই জানি কম্পিউটার ভাইরাস কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য কতটা ভয়াবহ বা ক্ষতিকর। কিন্ত, এটা জানার পরেও আমরা প্রতিরোধ করার প্রয়োজন মনে করি না।
এভাবে চলতে চলতে হটাৎ একদিন দেখলেন কম্পিউটারের কিছু সিস্টেম error দেখাচ্ছে, কিছু ফাঙ্কশনে ঠিক মতো কাজ করছে না, কম্পিউটার স্লো হয়ে গেছে, কিছু ফাইল নিজে থেকে ডিলিট হয়ে যাচ্ছে, ইন্টারনেট চালু করলে অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে।
কম্পিউটারের এই অবস্থা দেখে আপনি চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং ভাবেন কম্পিউটার মনে হয় ভাইরাসে আক্রমণ করছে।
এবার আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ দিবেন কম্পিউটার ভাইরাস কি, কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ, কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কি এই সব জানার জন্য।
তাই আপনি যদি প্রথম থেকে কম্পিউটারের ক্ষতিকর এই ভাইরাস সম্পর্কে জেনে কম্পিউটার ব্যবহার করতেন তাহলে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হতো না।
আপনি যদি ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় জানতেন তাহলে কখনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ভাইরাস ঢুকতে পারতো না।
তাই, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো Computer virus কি, ১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম, কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে।
কম্পিউটার ভাইরাস কি? (What is computer virus in bangla)
কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন একটি প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীর বিনা অনুমতিতে কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে এবং ধীরে ধীরে পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে যার।
Computer virus এর মূল কাজ হলো আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকে ফাইল গুলো মোডিফাই (modify) করে ক্ষতিকর কিছু প্রোগ্রাম লিখে দেয়।
এই ক্ষতিকর প্রোগ্রাম লেখার ফলে কম্পিউটারে সেই ভাইরাস কাজ করতে শুরু করে। হঠাৎ দেখবেন, আপনার কম্পিউটার নির্দেশনা ছাড়া কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে।
এই প্রোগ্রাম বা ভাইরাস কিভাবে আপনার কম্পিউটারে ঢুকলো সেটা আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না।
কম্পিউটার ভাইরাস কাকে বলে?
Computer virus হলো এমন এক ধরনের program যা আপনার অজান্তেই আপনার কম্পিউটারে ঢুকে সিস্টেম গুলোকে ক্ষতি করে।
ধীরে ধীরে এই প্রোগ্রাম পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে যার এবং মেমোরি, ফাইল গুলোকে ধংস করে দেয়।
সহজে বলতে গেলে, কম্পিউটারকে ক্ষতি করার জন্য প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে যে ভাইরাস তৈরি করা হয় তাকে কম্পিউটার ভাইরাস বলে।
মনে রাখবেন এই ভাইরাস তৈরি করা হয় কম্পিউটারকে ক্ষতি করার জন্য। তাছাড়া এটা অটোমেটিক ভাবে এটা তৈরি হয় না। তারপর বিভিন্ন মাধ্যমে এটাকে কম্পিউটারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
কম্পিউটার ভাইরাস কে আবিষ্কার করেন?
১৯৭১ সালে Robert thomas নামে একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার মজার ছলে কম্পিউটার ভাইরাস আবিষ্কার করেন।
ভাইরাস কিভাবে কম্পিউটারে প্রবেশ করে?
কম্পিউটারে কিভাবে ভাইরাস ঢুকে সেটা হয়তো আমাদের অনেকের অজানা। যার কারণে আমাদের কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করে।
তাহলে চলুন নিচে থেকে জেনে আসি কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করার কিছু মাধ্যমে সম্পর্কে।
(১) ইউ এস বি (USB) ডিভাইসের মাধ্যমে
আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার, অডিও, ভিডিও বা অন্যান্য ডকুমেন্ট গুলো কপি করে নেওয়ার জন্য অন্যের পেন ড্রাইভ (pen drive) ব্যবহার করি।
এই পেন ড্রাইভের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকতে পারে। তাছাড়া, আপনি নিজেও জানেন না এই পেন ড্রাইভে ভাইরাস মুক্ত কিনা।
(২) ইন্টারনেটের মাধ্যমে
কম্পিউটারে আপনি যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তখন বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করতে হয়। এই ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
সাধারণত ৭০% ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে adware, spyware এবং malware ভাইরাস গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবেশ করে।
(৩) ইমেইলের মাধ্যমে
আপনার ইমেইল বক্স প্রতিদিন চেক করে দেখবেন কত ধরনের মেইল আসে। এই ইমেইলের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ বা ঢুকতে পারে।
আশাকরি বুঝতে পারছেন কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার?
কম্পিউটার ভাইরাস এর প্রকারভেদ অনেক। তবে, এর মধ্যে যে ভাইরাস গুলো কম্পিউটারে বেশি আক্রমন করে সেগুলোর নাম নিচে বলে দিয়েছি।
(1) Adware Virus
আপনি যখন কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিছু নিরাপত্তাহীন ওয়েবসাইট থেকে কোনো কিছু ডাউনলোড করেন তখন এই adware virus চলে আছে।
এই ভাইরাস গুলো প্রবেশ করার পরে কম্পিউটারে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন (add) দেখাতে থাকে। যার ফলে আপনি বিরক্ত হয়ে যেতে পারেন। আপনি চাইলেও এই বিজ্ঞাপন (add) গুলো বন্ধ করতে পারবেন না।
(2) Malware virus
আপনার কম্পিউটারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এই malware system virus গুলো তৈরি করা হয়। এই ভাইরাস প্রবেশ করার প্রধান উৎস হলো অন্যের কম্পিউটার ডিভাইস থেকে কোনো ফাইল (file) USB এর মাধ্যমে কপি করে নেওয়ার সময় এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
(3) Spyware virus
কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আপনার ব্রাউজারের মাধ্যমে সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। তাছাড়া অন্যদের কাছ থেকে ফাইল কপি করে নেওয়ার সময় আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে।
(4) Worms virus
এই ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করার পরে আপনি নিজেও খুঁজে বের করতে পারবেন না। এটা আপনার সিস্টেম থেকে ধীরে ধীরে পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে যার। এই ভাইরাসকে self-replicating বলে।
(5) Overwrite virus
এই ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে যেকোনো ফাইল (file) ডিলিট করে দিতে পারে। ডিলিট করা ফাইল গুলো এই ভাইরাস নিজের মতো এডিট করে কম্পিউটারে ক্ষতি করে।
(6) Browser hijackers
কম্পিউটারে ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল (file) ডাউনলোড করার সময় ফাইলের সাথে প্লাগিন (plugin) বা extension হিসেবে কম্পিউটারে প্রবেশ করে।
এরপর কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় ব্রাউজারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক পপআপ (popup) বিজ্ঞাপন দেখাতে থাকে। তাছাড়া, অনেক সময় আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়।
(7) Trojans virus
এই ভাইরাস কম্পিউটারের জন্য হ্যাকার (hacker) রা ছড়িয়ে থাকে। যাতে আপনার কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করে পার্সোনাল ডাটা তারা সংগ্রহ করতে পারে।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ?
কম্পিউটার ভাইরাস গুলোর মধ্যে এমন অনেক ভাইরাস রয়েছে যে গুলো কম্পিউটারে প্রবেশ করলেও কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।
কারণ, এক একটি ভাইরাসের এক একটি লক্ষণ দেখা যায়। আসলে এটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে আপনার কম্পিউটারে কোন ভাইরাস প্রবেশ করেছে সেটার উপর।
আপনি কম্পিউটারে যদি ইন্টারনেট চালু করলে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে adware virus আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ করেছে।
এমন ভাবে এক একটি ভাইরাসের লক্ষণ এক এক ধরনের হয়ে থাকে। তবে, নিচে কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকলে বুঝবেন এমন কিছু লক্ষণ নিচে উল্লেখ করেছি।
- কম্পিউটার স্লো (slow) কাজ করবে।
- কম্পিউটার ওপেন (open) হতে অনেক বেশি সময় নিবে।
- কম্পিউটার নিজে নিজে রিস্টার্ট হয়ে যাবে।
- কম্পিউটার চলতে চলতে হটাৎ হ্যাং (hang) হয়ে যাবে।
- সফটওয়্যার গুলো ওপেন হতে সময় লাগবে।
- ইনস্টল (install) করা সফটওয়্যার আনইনস্টল (uninstall) করতে পারবেন না।
- ইন্টারনেট চালু করলে হঠাৎ বিজ্ঞাপন চলে আসবে।
কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়?
কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকতে বাধা দেওয়া বা ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।
সাধারণত কম্পিউটারে ৭০% ভাইরাস ঢুকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে। কিন্তু, এই ভয়ে তো আমরা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করা বাদ দিতে পারবো না।
তবে, কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় আপনাকে অবশ্যই সতর্ক ভাবে থাকতে হবে। তাছাড়া নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলুন।
- কম্পিউটারে অবশ্যই পেইড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
- এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সব সময় আপডেট (up to date) রাখবেন।
- ইন্টারনেটে থাকা বিশ্বাস্ত ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার সহ অন্যান্য ডাটা ডাউনলোড করবেন।
- অন্যের USB ড্রাইভ ব্যবহার করার সময় যাচাই করে নিন ভাইরাস আছে কিনা।
- কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় ইন্টারনেট সিকিউরিটি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম
(১) Cryptolocker
২০১৩ সালে ইমেইল অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে এই ভাইরাসের আগমন ঘটে। এই ভাইরাস আক্রমণের ফলে কম্পিউটারের ফাইল গুলো ব্লক করে দেয়।
এবার কম্পিউটারের স্কিনে একটা অফার দেখতে পাবেন যেখানে বলা হবে অর্থের বিনিময়ে আপনি কম্পিউটারের ডাটা গুলো ফেরত নেওয়ার জন্য।
Cryptolocker ভাইরাসের প্রধান কাজ কম্পিউটারের ডাটা গুলো জিম্মি করে অর্থ আদায় করা। আপনি চাইলে কম্পিউটার থেকে এই ভাইরাস ডিলিট করে দিতে পারবেন কিন্তু ডাটা গুলো ফেরত নিতে পারবেন না।
২০১৪ সালে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার আগে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে এর মূল হোতা।
(২) Sasser & Netsky
মাত্র ১৭ বছর বয়সে জার্মানির এক কিশোর দুটো প্রোগ্রাম তৈরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। এই দুইটা প্রোগ্রামের মধ্যে তেমন কোনো মিল না থাকলেও কোডিং মিল ছিলো।
যার ফলে নিরাপত্তা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সহজে বুঝতে পারেন এই দুইটা প্রোগ্রাম তৈরি করেছে একই ব্যাক্তি।
এই ভাইরাস ছড়ানো হলো ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে। আপনার কম্পিউটার সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের সিস্টেমের সাথে সংযোগ স্থাপন করে স্যাসার ডাউনলোড করতে বাধ্য করবে।
এভাবে স্যাসার পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে। একবার পুরো কম্পিউটারে স্যাসার ছড়িয়ে পড়লে সেটা বন্ধ করা সম্ভব হতো না।
তখন এটাকে প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হলো কম্পিউটারের পাওয়ার ক্যাবল খুলে ফেলা। এটা মূলত ইমেইল এবং উইন্ডোজ ব্যবহার করে ছড়িয়ে পড়ে।
(৩) Storm Worm
২০০৬ সালের দিকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে বের করেন। Storm Worm হচ্ছে এক ধরনের ট্রোজান হর্স প্রোগ্রাম।
এর কিছু সংস্কারণ কম্পিউটারকে সয়ংক্রিয় রোবটে পরিনত করে। কম্পিউটার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পুরো নিয়ন্ত্রণ ভাইরাসের হোতা নিয়ে নেই।
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকের কিছু দিন আগে ইমেইলের মাধ্যমে এর নতুন সংস্কারণ ছড়িয়ে পড়ে। ইমেইলের মাধ্যমে লেখা গুলো এমন থাকতো যাতে যেকেউ দেখে ইমেইল ওপেন করবো।
(৪) Nimda
২০০১ সালে এই nimda virus এর যাত্রা শুরু হয়। এই ভাইরাস এতোটাই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিলো যে অন্য ভাইরাসের রেকর্ড ভাঙতে মাত্র ২২ মিনিট সময় নিয়েছিলো।
প্রথমে এটা ইন্টারনেট সার্ভারকে লক্ষ্য করে ইন্টারনেটে ঢুকে পড়ে। তারপর ইমেইলের মাধ্যমে ও কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
এই ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করে পুরো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় যিনি ভাইরাস তৈরি করেছেন সেই হোতা।
(৫) MyDoom
Nimda virus এর মতো আর একটি ভাইরাস হলো মাইডুম। মূলত এই ভাইরাস দুইটি ধাপে ইন্টারনেটে প্রবেশ করে।
এই ভাইরাস কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে কম্পিউটার থেকে ডাটা চুরি করার জন্য চোরকে দরজা খুলে দেয়।
(৬) The Klez Virus
২০০১ সালের শেষের দিকে এই ভাইরাসের আগমন ঘটে। এই ভাইরাসের আক্রমণে কয়েক মাস ধরে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা তটস্থ হয়েছিল।
অন্যান্য ভাইরাস গুলোর মতো এই ভাইরাস ইমেইল এবং মেসেজের মাধ্যমে কম্পিউটারকে আক্রমণ করতো।
(৭) Code Red and Code Reed 2
২০০১ সালে এই দুইটা ভাইরাসের আগমন ঘটে। এই ভাইরাস কম্পিউটারে buffer overflow problem সৃষ্টি করতো।
এর ফলে কম্পিউটার যতটুকু বাফার নিয়ন্ত্রণ করে তার থেকে বেশি বেশি ডাটা গ্রহণ করতে শুরু করে।
(৮) Melissa
১৯৯৯ সালে ডেভিড এল স্মিথ নামে এক ব্যাক্তি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ভিত্তিক এই melissa virus তৈরি করেন। তিনি এমন ভাবে এটাকে তৈরি করেন যাতে সহজে ইমেইল এর মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
ডেভিড এল স্মিথ পরবর্তী সময়ে পুলিশের হাতে এই ভাইরাস তৈরি করার জন্য ধরা পড়েন। এর জন্য তাকে ২০ মাসের জেল এবং ৫০০ ডলার জরিমানা করা হয়।
(৯) ILoveYou
আই লাভ ইউ ভাইরাস কে তৈরি করেন তাকে খুঁজে বের করা যায়নি। তবে, অনেকে ধারণা করেন ওনার দে গজম্যান এই ভাইরাস তৈরি করেছেন।
এই ভাইরাস ইমেইলের মাধ্যমে কম্পিউটার ছড়িয়ে দেওয়া হতো। ইমেইলে আপনাকে এমন রোমান্টিক ভাবে মেইল করা হবে যাতে আপনি মেইল ওপেন করেন।
(১০) SQL Slammer
২০০৩ সালে জানুয়ারি মাসে এই নতুন ভাইরাস SQL Slammer কম্পিউটারের ওয়েব সার্ভারে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কম্পিউটার ডিভাইস গুলো মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।
যার ফলে ব্যাংক অব আমেরিকা এর এটিএম সার্ভার ক্রাশ করে নিয়েছিলো। ধারণা করা হয় এই ভাইরাসের কারণে ১ বিলিয়ন এর বেশি ডলার ক্ষতি হয়েছে।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম কম্পিউটার ভাইরাস কি এবং ১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম সম্পর্কে।
Computer virus সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। এরপর ও যদি আরো জানতে চাইলে নিচে কমেন্টে জানাতে পারেন।