ডিজিটাল ব্যবসার আইডিয়া 2023

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো কিছু নতুন নতুন ডিজিটাল ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। যে ব্যবসা গুলো করে আপনারা দ্রুত সময়ে লাভবান হতে পারবেন।

বর্তমানে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনলাইনে ব্যবসার করার চিন্তা করছে কিন্ত সঠিক ব্যবসার আইডিয়া না পাওয়ার জন্য তারা ব্যার্থ হচ্ছে। 

প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিজিটাল ব্যবসা। এই ব্যবসায়ে কম বিনিয়োগ করে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন।

কিন্তু, অনেকে জানেন না এই ব্যবসার আইডিয়া গুলো কিভাবে সংগ্রহ করবেন? তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সহজে কিছু ব্যবসার আইডিয়া দিবো।

যাতে আপনারা ঘরে বসে সহজে এই ডিজিটাল বিজনেস আইডিয়া গুলো নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন।

আমরা সকলে এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তাই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপনি ব্যবসায়ের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা।

তবে, অনলাইনে এই ব্যবসা গুলো করার জন্য আপনার হাতে প্রচুর সময় থাকতে হবে এবং নিজেকে দক্ষ হতে হবে।

অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এই ডিজিটাল ব্যবসার আইডিয়া আমরা কিভাবে কাজে লাগাবো?

চিন্তা করবেন না আমি প্রত্যেকটি ব্যবসার আইডিয়ার সাথে উক্ত ব্যবসা কিভাবে করবেন সেটা বলে দিবো। তার জন্য এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ডিজিটাল ব্যবসার আইডিয়া 2023 (Digital business ideas)

বর্তমান ডিজিটাল এই যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেশ কিছু ব্যবসা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কাছে টাকা আছে কিন্তু ব্যবসার সঠিক আইডিয়া নেই।

অনেকের কাছে টাকা থাকা সত্ত্বেও সঠিক ব্যবসার আইডিয়া  না থাকায় অনেকেই ব্যবসা করতে পারছেন না। তাই আজকের আর্টিকেলে নতুন কিছু ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো।

(১) ই-বুক লেখা

আমি প্রথমে বলেছি এই ডিজিটাল ব্যবসা গুলো করার জন্য আপনার হাতে প্রচুর সময় এবং দক্ষতার প্রয়োজন হবে।

যদি আপনার কাছে সময় এবং দক্ষতা থাকে তাহলে ই-বুক ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য খুব লাভজনক ব্যবসা। তাছাড়া বর্তমানে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ই-বুক যেকোনো বিষয়ের উপর লিখতে পারেন। তবে, যে বিষয় সম্পর্কে লিখতে চাচ্ছেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে তারপর লিখতে হবে।

আপনি এমন ভাবে লিখবেন যাতে লেখার মধ্যে কিছু নতুনত্ব থাকে। তাহলে পাঠকগণ পড়তে ভালোবাসবে।

E-books লিখে পাবলিশ করার অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে আপনার লেখা ই-বুক পাবলিশ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনেক জনপ্রিয় ও লাভজনক হলো অ্যামাজনের কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং ই-বুক। আপনি অ্যামাজনে ই-বুক পাবলিশ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

(২) কনটেন্ট রাইটিং

অনলাইন ডিজিটাল ব্যবসার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসা হলো কনটেন্ট রাইটিং। আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাহলে এই ব্যবসা আজই শুরু করতে পারেন।

ইংরেজি বাংলা দুই ভাষায় আপনি লেখালেখি করতে পারবেন। আপনি যদি ইংরেজিতে রাইটিং করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, ফাইবার মার্কেটপ্লেস গুলোতে কনটেন্ট রাইটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর যদি বাংলা ভাষায় কনটেন্ট রাইটিং করেন তাহলে আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো ব্লগ রয়েছে যেখানে লেখালেখি করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আমাদের দেশে জনপ্রিয় কিছু বাংলা ব্লগ রয়েছে। যেখানে লেখা জমা দিয়ে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এমন জনপ্রিয় কিছু ব্লগের নাম নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • টেকটিউনস
  • বাংলা টেক২৪
  • সফল ফ্রিল্যান্সার
  • পরিবর্তন 
  • অডোনারি

(৩) রিসেলার ব্যবসা

আপনার কাছে যদি টাকা না থাকে তাহলেও আপনি এই রিসেলার ব্যবসা করতে পারবেন। অনলাইনে রিসেলার ব্যবসা করার জন্য আপনার দরকার হবে একটি ওয়েবসাইটের।

এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য আপনি অর্ডার নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পণ্য সংগ্রহের দরকার হবে না।

আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যের অর্ডার নিয়ে কোম্পানির কাছ থেকে সেই পণ্য নিয়ে  ক্রেতাদের কাছে সেল করতে পারবেন।

আপনি আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে এই ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

(৪) অনলাইন কোর্স তৈরি

বর্তমান স্টুডেন্টরা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তারা শিক্ষকদের কাছে না গিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব কিছু জানতে চাচ্ছেন।

তাই এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে আপনি এমন কিছু কোর্স তৈরি করতে পারেন, যেগুলো স্টুডেন্টদের কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়। মানে আপনার কোর্স থেকে তারা যেন সহজে কিছু শিখতে পারে।

আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয় সম্পর্কে ভিডিও কোর্স তৈরি করুন। এই কোর্স গুলো নিজের ব্লগে বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠিত অনলাইন কোর্স প্লাটফর্মে বা ইউডেমির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।

এমন বিষয় কোর্স গুলো তৈরি করবেন যাতে কোর্স গুলো অন্যদের উপকারে আসে। তাছাড়া কোর্স তৈরি করার পূর্বে আমি চিন্তা করবেন আপনি নিজে এই কোর্সটি কিনতেন কিনা।

(৫) অনলাইনে ফটো / ছবি বিক্রি

আপনি কি প্রকৃতিক, ফুল ইত্যাদির ছবি তুলতে পছন্দ করেন। তাহলে এই ছবি তোলার সখকে আপনার ব্যবসায় পরিনত করুন।

সারা বিশ্বে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা সাধারণ মানুষ নানা কাজের জন্য অনলাইন থেকে ছবি কিনে ব্যবহার করছেন।

অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি নিজের তোলা ফুল, ফল, প্রকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি গুলো বিক্রি করতে পারবেন।

এমন জনপ্রিয় কিছু ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট হলো ফটোড্যুন, আইস্টক, শাটারস্টক ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি একাউন্ট খোলার পরে সরাসরি ছবি বিক্রি করতে পারবেন।

শুধু ছবি বিক্রি করা না এখান থেকে আপনি নিজের প্রয়োজন মতো ছবি কিনতেও পারবেন। তবে মনে রাখবেন, এই সব ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করার জন্য আপনাকে হাই কোয়ালিটির সুন্দর ও আকর্ষনীয় ছবি তুলতে হবে।

আপনি যদি হাই কোয়ালিটির সুন্দর ও আকর্ষনীয় ছবি তুলতে না পারেন তাহলে আপনার ছবি গুলো বিক্রি হবে না। এই ধরনের ছবি তোলার জন্য আপনার ভালো ক্যামেরা বা ভালো স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে।

(৬) সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইস বিক্রি

আমরা অনেকে সখের বশে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনার কিছু দিন পরে সেটা আবার বিক্রি করে দেই। আবার কেউ টাকার দরকার হয় বলে পুরাতন জিনিস বিক্রি করে দেই।

এই পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসপত্র গুলো ক্রয় বিক্রয় করা আপনার জন্য দারুণ একটি ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে।

এই সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস গুলো চাহিদা অনেক বেশি। কারণ অনেকেই জিনিসপত্র গুলো কিনতে চান কিন্ত বাজেটের কারণে কিনতে পারেন না।

আমাদের বাংলাদেশে এমন কোনো ভালো বিশ্বস্ত  ওয়েবসাইট নেই যায় মাধ্যমে ক্রেতাগণ সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসপত্র গুলো ক্রয় বা বিক্রয় করবেন।

তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি একটি বিজনেস শুরু করতে পারেন। দেশে এই বিজনেস কম থাকায় অনেক দ্রুত সময়ে আপনি লাভবান হতে পারবেন।

(৭) ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা

বর্তমান বিশ্বে প্রচুর পরিমানে ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এই ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করার জন্য দরকার ডোমেইন এবং হোস্টিং। 

ডোমেইন এবং হোস্টিং ছাড়া আপনি কখনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না। অনলাইনে ওয়েবসাইট দাঁড় করানোর জন্য থিম, প্লাগিন এর থেকে জরুরি হলো ডোমেইন এবং হোস্টিং।

আমাদের দেশে ভালো ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি না থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষরা বিদেশি কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে।

কিন্তু, বিদেশি কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করার জন্য সব থেকে বড় বাধা আসে মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড আমাদের কাছে থাকে না।

যার ফলে আমাদের পেমেন্ট করতে অনেক সমস্যা  হয়। এই সমস্যা থেকে দেশের মানুষের মুক্তি দেওয়া জন্য আপনি বড় বড় কোম্পানি থেকে রিসেলিং প্যাকেজ কিনে বিক্রি করতে পারেন।

এই রিসেলিং প্যাকেজ কেনার জন্য পেমেন্ট অপশন দিবেন বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় সহ বিভিন্ন দেশীয় ব্যাংক কার্ড গুলো। এই ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ করলে দ্রুত সময়ে লাভবান হবেন।

শেষ কথা

আজকে আমরা জানলাম বর্তমান সময়ে ব্যবসা করারর জন্য জনপ্রিয় কিছু ডিজিটাল ব্যবসার আইডিয়া (Digital business ideas) সম্পর্কে।

আজকের আর্টিকেলে অনলাইন ব্যবসার নাম গুলো কেমন লাগলো সেটা কমেন্টে জানাবেন এবং ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap