আপনারা অনেকেই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম জানতে চান । কিন্তু কিভাবে করতে হয় সঠিক নিয়ম কি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর এটি অনেকেই জানেন না । আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টটি পড়েন আশা করি আপনাদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর এখান থেকেই পেয়ে যাবেন
ভোটার আইডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস প্রতিটি মানুষের জন্য একটি মানুষের পরিচয় হলো ভোটার আইডি কার্ড । অনেক সময় অনেক কারণবশত আইডি কার্ডের নাম জন্ম তারিখ কিংবা ঠিকানা ভুল হয়ে থাকে এজন্য অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় তাই আমরা চিন্তা করি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কিভাবে করা যায় ।
তাই আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করার যাক আমাদের আজকের পর্ব এবং আপনারা কিভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন এবং অনলাইনের আবেদন প্রক্রিয়া সে বিষয়ে আলোচনা করব ।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর সঠিক নিয়মটি হচ্ছে প্রথমে আপনাদেরকে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইটিতে ঢুকতে হবে । তারপর রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করে আপনার নাম জন্মতারিখ ঠিকানা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে । রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হলে লগইন বাটনে ক্লিক করুন ।
ক্লিক করার পর আপনার প্রোফাইলের ভুল তথ্যসমূহ এডিট করুন এবং সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করুন । এরপর আপনাকে সংশোধন ফ্রি জমা দিতে হবে এবং প্রমাণসমূহের জন্য যাবতীয় তথ্য দিয়ে আপলোড করে সাবমিট করে দিন । এরপর কয়েকদিন সময় লাগবে আপনার তথ্যগুলো যদি সঠিক হয় এবং আবেদন অনুমোদিত হয় তাহলে আপনার ভোটার আইডি আইডি কার্ড সংশোধন হবে ।
ভোটার আইডি কার্ডের যেসব তথ্য সংশোধন করা যাবে
- ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে পারবেন
- ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে পারবেন
- ভোটার আইডি কার্ডে বাবা এবং মায়ের নাম সংশোধন করতে পারবেন
- ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
- অন্যান্য তথ্য খুব সহজেই সংশোধন করতে পারেন
ভোটার আইডি কার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস কোন কারনে যদি তথ্য ভুল হয়ে থাকে যত দ্রুত সম্ভব ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যগুলো সংশোধন করা কারণ একটি ভুলের কারণে হয়ে যেতে পারে অনেক কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তাই আপনাদেরকে সাজেশন করব এবং আপনাদের উচিত আরও যদি ভোটার আইডি করে কোন তথ্য ভুল থাকে যথাসম্ভব ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দ্রুত সংশোধন করা ।
সিম কার নামে নিবন্ধন জানার উপায়
আপনার Nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর কপি, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন এর একটি কপি, যদি আপনার পাসপোর্ট থাকে তাহলে পাসপোর্ট এর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি লাগবে । এর মধ্যে যে কোন ২ টি ডকুমেন্ট দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যাবে খুব সহজে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে । এছাড়া কারো যদি এসব ডকুমেন্ট না থাকে তাহলে বিয়ের কাবিন দিয়েও ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন ।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত
আপনারা অনেকেই জানতে চান ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত আমি নিচে খুব সুন্দর ভাবে আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য একটি চার্ট টেবিল তৈরি করেছি আশা করি আপনার এখান থেকে সহজেই বুঝতে পারবেন ।
সংশোধনের ধরণ | ফি |
---|---|
এনআইডির তথ্য সংশোধন – NID Info Correction | ২৩০ টাকা |
অন্যান্য তথ্য সংশোধন – Other Info Correction | ১১৫ টাকা |
উভয় তথ্য সংশোধন – Both Info Correction | ৩৪৫ টাকা |
রিইস্যু – Duplicate Regular | ৩৪৫ টাকা |
রিইস্যু জরুরী – Duplicate Urgent | ৫৭৫ টাকা |
আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বোচ্চ সময় ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে। তবে এটি পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার আবেদনের ধরণ এরউপর। তবে আপনি যদি অনলাইনে উপযুক্ত প্রমাণপত্র সঠিকভাবে আপলোড করতে পারেন তবে আপনার আবেদন করার পর ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আবেদন অনুমোদন হবে আশা করি ।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
অনেকেই জানেন না অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় না। এ নিয়ে আপনারা অনেকে হয়রানি শিকার হয়ে থাকেন এ জন্য আপনাকে একটি ঠিকানা পরিবর্তন ফরম পূরণ করে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন এর জন্য ৫ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে ।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিষ্টার করুন। তারপর একাউন্টের প্রোফাইল Option থেকে তথ্য সংশোধন করুন। এবার এনআইডি ফি পরিশোধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র Upload করে সংশোধন আবেদনটি জমা দিন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়াটি নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো।
ধাপ ১: ডকুমেন্টসগুলোর স্ক্যান
NID সংশোধনের আবেদন করার পূর্বে আপনার সংশোধনের ধরন অনুযায়ী, প্রমাণপত্রগুলো Scan করে নিতে হবে। আপনার যদি Computer ও Scanner থাকলে খুবই ভাল। না থাকলে মোবাইলে ভাল আলোতে, ভালো ভাবে ছবি তুলে নিন অথবা কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে স্ক্যান করিয়ে নিন । এবার ছবিটি সুন্দরভাবে ক্রপ করে নিন এবং প্রয়োজন হলে Brightness ও Contrast বাড়িয়ে নিন। আপনার ডকুমেন্টের Scanned Copy আপনার কম্পিউটারের কোন নির্দিষ্ট ফোল্ডার গ্যালারিতে রাখুন।
ধাপ ২: NID ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন
এবার Computer থেকে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইটে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের একাউন্টে Registration করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করার আগে আপনার অন্য একটি মোবাইল থেকে Google Play Store থেকে NID Wallet অ্যাপটি Install করে নিন। এটি Face Verification করতে কাজে লাগবে।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে এনআইডি সেবার ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। উপরে খুব ভালোভাবেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেই নিয়মটি ফলো করুন । রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্ট এই লিংকে যান। নিচের মত একটি পেইজ আসবে।
এখানে প্রথম অপশন রেজিস্টার করুন লিংকে ক্লিক করুন। তারপর নিচের মত একটি পেজ দেখতে পারবেন।
এখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / স্মার্ট কার্ড নম্বর লিখুন। আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন, আপনার ভোটার আবেদনের ফরম নম্বরটি লিখুন। ফরম নম্বর দিয়েও ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়।
আপনার জন্মতারিখ ও ছবিতে দেখানো Captcha Code টাইপ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) বাছাই করুন। নিচের ছবির মত।
উপরের সব তথ্য সঠিক থাকলে আপনার মোবাইল নম্বর দেখতে পারবেন। অথবা আপনি যদি চান তাহলে নতুন একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার Account Verification করতে পারবেন। অবশ্যই মোবাইল নম্বরটি সচল এবং আপনার হতে হবে। কারণ এই নম্বরের একটি Verification OTP পাঠানো হবে।
এখানে আপনার মোবাইল নম্বরটি সঠিকভাবে লিকুন এবং বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি উপরের ছবিতে দেখানো ঘরে লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
ফেইস ভেরিফিকেশন করুন
এবার আপনার Face Verification এর জন্য একটি QR কোড দেখানো হবে। NID Wallet অ্যাপ দিয়ে কোড টি স্ক্যান করে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
এবার আপনার মোবাইলে ইনস্টল করা NID Wallet App টি ওপেন করুন। ভাষা সিলেক্ট করে Agree and Continue বাটনে ট্যাপ করুন। এরপর QR কোডটি স্ক্যান করুন।
QR কোড স্ক্যান করার পর আপনার Face Verification করার অপশন আসবে। এখানে দেখানো হবে কিভাবে প্রথমে আপনার সোজাসুজি ছবি তুলবেন, তারপর চোখ ক্যামেরার দিকে রেখে মাথা একটু বামে ও ডানে ঘুরাবেন।
ফেইস স্ক্যান চালু করার জন্য Start Face Scan বাটনে ক্লিক করুন।
এ্যাপ এ দেখানো ভিডিওর মত, আপনার মুখ বরাবর Selfie Camera ধরুন ও সোজাসুজি তাকান। ঠিক থাকলে ছবিতে OK বা টিক মার্ক দেখাবে।
তারপর, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা ডানে একবার ও বামে একবার ঘোরাবেন। OK না দেখালে, আবার চেষ্টা করুন।
Face Verification সম্পন্ন হলে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ আসবে।
এবার আপনার Account Password সেট করুন। ভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশনের ঝামেলা ছাড়া একাউন্টে Log in করতে হলে, আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
Password না দিতে চাইলে এড়িয়ে যান বাটনে ক্লিক করে আপাতত কাজ সম্পন্ন করার যাবে। আমার পরামর্শ থাকবে পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য। ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা পুনরায় Download করার জন্য আপনার অনেক সুবিধা হবে।
ধাপ ৩: তথ্য সংশোধন
আপনার সফলভাবে Account Registration হলে, আপনি NID একাউন্টে লগ ইন করবেন। ঠিক তখন আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ দেখতে পারবেন ।
এখানে ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার জন্য, উপরের ডান পাশে নীল রংয়ের এডিট বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর নিচের মত পেইজ আসবে। এখানে আপনি তথ্যগুলো পুনরায় Type করে Edit করার অপশন পাবেন।
আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, তার বাম পাশের টিক অপশনে ক্লিক করুন। এভাবে আপনার ভুল তথ্যগুলো প্রমাণপত্রের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন।
তারপর, পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এখানে আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্বরুপ ও সংশোধিত রুপ দেখতে পাবেন। সব ঠিক থাকলে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
ধাপ ৪: ফি প্রদান
এখন, আপনাকে আপনার ভুল তথ্যের ধরণ অনুযায়ী ফি প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার এতক্ষণ যা করেছেন তা Close করবেন না, সেই পেইজেই থাকুন। ফি প্রদান করেই আপনাকে আবার আবেদনের বাকি কাজ শেষ করতে হবে।
আপনি, রকেট, বিকাশ, ওকে ওয়ালেট থেকে খুব সহজেই NID Fee পরিশোধ করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
তথ্য সংশোধনের জন্য প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা এবং ১৫% ভ্যাট ৩০ টাকা, মোট ২৩০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
যেহেতু বিকাশ অধিক ব্যবহৃত, হয়তো আপনার ও বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। দেখুন কিভাবে বিকাশ হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ফি পরিশোধ করবেন।
বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID Fee) প্রদান
বিকাশের মাধ্যমে ফি দিতে বিকাশ এ্যাপ থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে Log in করুন। এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- পে বিল অপশনে যান
- সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করুন এবং NID Service অপশনটি বাছাই করুন।
- আপনার আইডি নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন
- আপনার আবেদনের ধরণ বাছাই করুন।
এরপর আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে ফি পরিশোধ করুন। ফি পরিশোধ করা হলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে আবার ফিরে জান এবং প্রমাণসমূহ আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করুন।
ধাপ ৫: প্রমাণপত্র / ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট
আপনাকে ১ম ধাপেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো স্ক্যান করে একটি ফোল্ডারে রাখার জন্য বলেছিলাম এখন আপনার প্রয়োজন মোতাবেক আপনার ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।
ধাপ ৬: জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড
এবার আপনাদের আবেদন সাবমিট করার পর, আগের ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন। আপনি উপরের দিকে যে আবেদনটি দেখতে পারবেন সেটি Download করার একটি লিংক দেখতে পাবেন। লিংকে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে রাখুন
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম । ধন্যবাদ