Self-employed মানে কি? (Self-employed meaning in Bengali): আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে এই বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করবো। কারন,
এই পৃথিবীতে আমাদের সবার কোনো না কোনো পেশাগত লক্ষ্য থাকে। কেউ হতে চাই ডক্টর, কেউ হতে চাই ইঞ্জিনিয়ার, কেই সরকারি চাকরির করতে চাই, আবার কেউ আইটি প্রফেশনাল হয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই।
ছাড়া অনেকে আছেন যারা ব্লগিং, ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে নতুন পেশায় যুক্ত হয়ে অনেক মানুষ সফল ভাবে অর্থ উপার্জন করছেন।
বর্তমান সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা আর্থিক দিক থেকে স্বাধীনভাবে ইনকাম করার পথ বেছে নিতে পছন্দ করেন। তাই, আমরা আশেপাশে থেকে শুনতে পাই Self-employed বা স্বনির্ভরতার এই শব্দ গুলো।
তাই, আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিবো “সেলফ-এমপ্লয়েড এর মানে কি”, এর বৈশিষ্ট্য গুলো এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলোর সম্পর্কে।
Self-employed মানে কি? (Self-employed meaning in Bengali)
যখন কোনো ব্যাক্তি নিদিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বেতন বা মজুরির বিনিময়ে কাজ না করে সরাসরি নিজের ব্যবসা, বানিজ্য বা পেশা থেকে টাকা ইনকাম করে তখন সেই ব্যাক্তি সেলফ-এমপ্লয়েড বা স্বনির্ভর বলা হয়।
১৯১৬ সালে প্রথম এই Self-employed কথাটি ব্যবহার করা হয়। এতজন আত্ননির্ভর ব্যাক্তি কখনো কোনো কোম্পানির অধীনে কাজ করে না এবং তাদের কাছ থেকে বেতন বা মজুরি নেয় না।
বরং একজন আত্ননির্ভর ব্যাক্তি স্বাধীন ভাবে কাজ করে এবং তার কাজের বিনিময়ে বা ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপর্জন করে থাকে।
স্বনির্ভর ব্যাক্তিরা বিভিন্ন ধরনের পেশায় যুক্ত থাকে। তারা একটি নিদিষ্ট বিষয় বা একাধিক বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে থাকে।
এক্ষেত্রে, একজন ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, বিনিয়োগকারী, বিক্রয়কর্মী সহ আরো বিভিন্ন পেশার মানুষ সকলে সেলফ-এমপ্লয়েড হতে পারেন।
Self-employed এর সুবিধা
বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও সেলফ-এমপ্লয়েড এ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অনেক গুলো সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধা গুলো নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
(১) আপনি নিজের পেশায় উৎসায়ী বোধ করবেন?
আপনি যেহেতু নিজের কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছেন, সেহেতু আপনি নিজের শখ বা পেশাকে নিজের জীবিকা উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
এক্ষেত্রে আপনি নিজের কোনো পছন্দের কাজ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই আপনার শখের কাজকে নিজের নতুন উদ্যম বা খুশি করেন।
(২) নিজের পছন্দসই কর্মী নিয়োগ করা
আপনি নিজের ব্যবসা বা কাজ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে নিজের মনের মতো কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন। আবার যখন খুশি কর্মী ছাটাই-বাছাই করতে পারবেন।
(৩) আপনি নিজে ব্যবসার নিয়ন্ত্রক
আপনার ব্যবসার মালিক আপনি নিজে। তাই, আপনি ব্যবসার প্রতিটা কাজের ব্যাপারে আপনাকে নিজে হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর একারণে আপনার ব্যবসার পরিবেশকে আপনার মনের মতো করে গড়ে তুলতে পারবেন।
(৪) আপনার কাজের সময়সূচী নিজে ঠিক করতে পারবেন
যেহেতু আপনি সেলফ-এমপ্লয়েড তাই আপনার কাজের সময়সূচী তৈরি করা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি কখন কয়টায় কাজ করবেন সেটা আপনাকে ঠিক করতে হবে।
(৫) আপনার রুটিনের পরিবর্তন আনতে পারবেন
যেহেতু আপনি নিজেই ব্যবসার মালিক তাই নিজের ইচ্ছা মতো যেকোনো সময় রুটিন পরিবর্তন করতে পারবেন। অফিসে কর্মীদের একটি নিদিষ্ট সময় ধরে কাজ করতে হয়।
কিন্ত, স্বনির্ভর ব্যবসার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সুবিধা হলো এখানে আপনি প্রত্যেকদিন রুটির বদলাতে পারবেন।
(৬) আপনি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন
যখন আপনি সেলফ-এমপ্লয়েড হন তখন নতুন নতুন কঠিন কাজের মুখোমুখি হতে হবে এবং সেই সম্পর্কে জেনে সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
Self-employed এর অসুবিধা
১. আপনি ব্যবসা বা ফ্রিল্যান্সিং এর নিজে নিজেই প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে দিন রাত পরিশ্রম করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হলে মন এবং শরীর দুইটাই ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
২. স্বনির্ভর হওয়ার পরে অনেক কর্মচারীরা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্য বীমা করে থাকেন। যদিও স্বাস্থ্য বীমা করা ভালো কিন্ত এতে প্রচুর টাকা বহন করতে হয়।
৩. বড় বড় অফিসে যখন আপনি কাজ করবেন তখন আপনাকে বিশেষ একটি সুবিধা দেয়। যেমন – অসুস্থাতার জন্য ছুটি, ওভারটাইম কাজে বেতন, সঞ্চিত অবকাশকালীন ছুটি সহ আরো অন্যান্য সুবিধা পায়। কিন্ত স্বনির্ভর ব্যাক্তি হিসেবে এই সুবিধা গুলো আপনি পাবেন না।
৪. স্বনির্ভর ব্যাক্তিদের কোনো ধরনের সামাজিক কাজের পরিবেশ থাকে না। তাদের সব সময় একাই কাজ করতে হয়। তাই তারা অনেক সময় একাকী বোধ অনুভব করে।
সেলফ-এমপ্লয়েড এর বৈশিষ্ট্য
১. সেলফ-এমপ্লয়েন্ট জীবিকা থেকে ইনকামের পরিমান কখনো নিদিষ্ট পরিমানে হয় না। ইনকামের পরিমানটা উক্ত ব্যাক্তির উৎপাদন ক্ষমতা, ক্রয়-বিক্রয় এর উপর নির্ভর করে।
২. স্বনির্ভর জীবিকাতে একাই মালিক হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ লাভ লোকসান নিজেকে বহন করতে হয়।
৩. স্ব-কর্মসংস্থান জীবিকাতে অনেক সময় অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। যদিও এই বিনিয়োগের পরিমান অল্প হয়।
৪. একজন সেলফ-এম্পলয়েড ব্যাক্তি তার ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সকল সিদ্ধান্ত স্বাধীন ভাবে নিতে পারেন।
৫. সেলফ-এমপ্লয়মেন্ট জীবিকা গুলোতে একজন ব্যাক্তির নামে মালিকানা থাকে এবং তিনি সর্বদা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। আবার, সেলফ-এমপ্লয়মেন্ট জীবিকাতে এক বা একাধিক ব্যাক্তি যুক্ত থাকতে পারে।
৬. একজন স্বনির্ভর ব্যাক্তি নিজের জীবিকা নিজে অর্জন করে নিতে পারেন। জীবিকা নির্ভরের জন্য তাকে কোনো কোম্পানির বা অন্য কিছু করার প্রয়োজন হয় না।
শেষ কথা
তাহলে আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম Self-employed মানে কি (Self-employed meaning in Bengali) এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য গুলোর সম্পর্কে।
সেলফ-এমপ্লয়েড সম্পর্কে যদি কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে নিচের কমেন্টে জানাবেন এবং ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।